সত্যি সত্যি বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট আকাশে উড়বে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে । দেশে প্রথমবারের মত আসছে কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট।দেশের অভ্যন্তরীণ এবং পুরো বিশ্বের সাথে যোগাযোগ এর উৎকর্ষ সাধনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই প্রকল্প অধিকতর ভূমিকা রাখবে ।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এর জন্যে মহাকাশে বাংলাদেশের আবেদন ছিল ১০২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমায়। এ আবেদনের পর যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখন রাশিয়ার কাছ থেকে কিনতে যাচ্ছে ১১৯ দশমিক ২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমায়। যেটি আসলে বাংলাদেশ থেকে বেশ খানিকটা পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থান ৯০ ডিগ্রীর আশেপাশে। তবে এই জায়গায় কোনো স্লট খালি না থাকায় বাংলাদেশকে খানিকটা সরে যেতে হচ্ছে।
দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে ভূমিকা রাখবে এ কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি চালু হলে বিদেশি স্যাটেলাইট ছাড়াই দেশের প্রত্যক্ত অঞ্চলে কম মূল্যে সম্প্রচার সেবা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্সিংয়সহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এটি। স্যাটেলাইটটি তৈরির কাজ পেয়েছে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালানিয়া স্পেস। ২০১৭ সালের নভেম্বরে থ্যালাসের কাছ থেকে ফ্রান্সে স্যাটেলাইটটি বুঝে নেবে বিটিআরসি। পরে তা নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে। সেখানে একটি মার্কিন কোম্পানি তা মহাকাশে উৎক্ষেপণ করবে।
এই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের জয়দেবপুরে ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি আর্থ স্টেশন স্থাপন করা হবে। টেলিভিশন চ্যানেল, টেলিফোন ও বেতার যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ ব্যয় করে। নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ করা হলে সম্প্রচার বাবদ প্রতিবছর ১১০ থেকে ১২০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
Recommended Artical :
Do you know? Reason for recently Foreign Remittance fall in BANGLADESH ? If do you want to know pls read this artical .
Sign up here with your email
2 comments
Write commentsEnter your comment...আরো একটু বিস্তারিত লিখলে সবার বুঝতে সুবিধা হতো।
Replythanks.. i will try next time..
ReplyConversionConversion EmoticonEmoticon