"সপ্তম আশ্চর্য হিসেবে মনোনয়ন প্রাপ্ত আমাদের এই ম্যানগ্রোভ বন কি পরিনত হবে বিষাক্ত এলাকায়?????"

"সপ্তম আশ্চর্য হিসেবে মনোনয়ন প্রাপ্ত আমাদের এই ম্যানগ্রোভ বন কি পরিনত হবে বিষাক্ত এলাকায়?????"



আমরা গর্বিত যে, বাংলাদেশে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অখন্ড বনভূমি সুন্দরবন আছে বলে। এই সর্ববৃহৎ বনভূমিতে আছেবিখ্যাত সব গাছপালা, বিশ্ববিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এছাড়াও আছে অনেক পশুপাখি। কয়েক বছর পর থাকবে কি এইবৈচিত্রময় সুন্দর্যের আধার? থাকবে কি রয়েল বেঙ্গল টাইগার? না কি বিলুপ্ত প্রাণীদের মত এই সব ও হাড়িয়ে যাবে??? এই সব প্রশ্ন পরিবেশ বিশেঙ্গদের। যার অন্যতম কারন বাগেরহাটের রামপালে গড়ে ওঠা ১৪৩০মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যারমোট উৎপাদন ক্ষমতা দ্বীগুন ২৬৪০মেগাওয়াট। যার জন্য মোট জমির প্রয়োজন ১৮৩০ একর। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ অংশদারে এটি তৈরি হচ্ছে। এটি তৈরির জন্য "বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কম্পানি" গঠন করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট পরিচালিত একটি জরিপ এদেখা যায়, ২০১০ সালে কার্বন ডাইঅক্সাইড মোট উদগীরন করেছে ৮১ ভাগ কয়লা ভিত্তক প্রকল্পে, যাথেকে মোট শক্তি পাওয়া যায় ৪১ভাগ। কয়লা ভিত্তিক পেকল্পে প্রতি ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ২.২ বিলিয়ন গ্যালন পানি(মিষ্টি পানি) প্রয়োজন। রামপাল প্রকল্পে পানির প্রয়োজন মেটাবে নিঃসন্দেহে পশুর নদী। এই পশুর নদী সুন্দরবনের ও আশেপাশের জনবসতির প্রয়োজন মিটাতে ভূমিকা রাখে।এই প্রকল্পের ফলে পশুর নদীর অস্তিত্ব কি অক্ষুণ্ণ থাকবে?

Recommended Artical :

বাঙ্গালী হয়েও আমরা বিলুপ্তির পথে নিয়ে যাচ্ছি আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোকে.
Previous
Next Post »